মেহের মণি: প্রবাসী আয়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে। গত চার মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পৌনে ২শ কোটি ডলার কম এসেছে প্রবাসী আয়। তবে জুলাই মাস থেকে বিদেশে শ্রমিক যাওয়া বেড়েছে। বিএমইটির তথ্য মতে প্রতি দিন ৫ হাজার শ্রমিক যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে।
বাংলাদেশের শ্রম বাজারে বছরে ২০ লাখ কর্মক্ষম জনশক্তি যুক্ত হয়। এর এক তৃতীয়াংশ অর্থ্যাৎ ৬ থেকে ৭ লাখ প্রতি বছরই বিদেশে যেত করোনার আগে। কিন্তু করোনর প্রভাবে জনশক্তি যাওয়ার পরিবর্তে ফেরত এসেছে গত এক বছরে।
বিএমইটির তথ্য মতে, করোনার প্রভাবে ফেরত আসা ৫ লাখ শ্রমিকের অধিকাংশই আবারও বিদেশে গেছে। প্রতি দিন ৫ হাজার মানুষ বিদেশে যাচ্ছে। এখন বাড়তি বেতনে দক্ষ শ্রমিক নিতে চাচ্ছে দেশগুলো।
তবে শ্রমিক পাঠানোর হার বাড়লেও প্রবাসী আয় কমছে ক্রমান্বয়ে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ৭ শ ৫ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ কম। গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৮শ ৮১ কোটি ডলার। জুলাই মাসে এসেছিল ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার , আগস্ট মাসে এসেছিল ১৮১ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে এসেছিল ১৭২ কোটি ডলার, অক্টোবর মাসে এসেছিল ১৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
এই অভিবাসন বিশেষজ্ঞ বলছেন, করোনার শুরুর দিকে মানুষ সঞ্চয় পাঠিয়ে দিয়েছিল আবার অনেকেই পুঁজি নিয়ে দেশে ফেরত আসে। ফলে গত বছর রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় আসে।
করোনাকালে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে প্রবাস আয় পাঠানো বন্ধ থাকলেও এখন তা আবার চালু হয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসী আয় পাঠানো কমে গেছে।
/admiin