নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এটিতে এখন রাষ্ট্রপতি সই করলেই আইনে রূপ নেবে। জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (২৭শে জানুয়ারি) দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে কণ্ঠ ভোটে পাস হয়েছে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ২০২২’। এটি রাষ্ট্রপতির সইয়ের জন্য পাঠানো হবে।
এদিকে বিল পাসের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিলের ওপর সংসদে আলোচনায় বিরোধী দলের সদস্যরা সমালোচনা করে বলেছেন, এই বিল পাস হলেও নির্বাচন নিয়ে সংকটের সমাধান হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। জাতীয় পার্টির এক সদস্য বলেছেন এই বিল সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বৃহস্পতিবার স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এই বিলে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাব দেন। এসময় তারা বলেন, তাড়াহুড়ো করে আইন পাস করা আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিলটি পাস হলে নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না বলেই অনেকে সমালোচনা করছে। তাড়াহুড়ো করে নয়, আইনটি করা হয়েছে সকলের দাবির প্রেক্ষিতে।
পাস হওয়া আইনে অনুসন্ধান কমিটিতে রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী হবেন এমন বিধান রাখা হয়েছে। সার্চ কমিটির কাজ ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। যা সংসদে উত্থাপিত বিলে ১০ কার্যদিবস ছিল।
এখন রাষ্ট্রপতির সই করার পর গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই প্রথমবারের মত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন পাবে বাংলাদেশ।
MNU/admiin