সর্বস্তরের শ্রদ্ধা শেষে সমাহিত কে জি মোস্তফা

প্রকাশিত: ০৯-০৫-২০২২ ১৯:৪৮

আপডেট: ০৯-০৫-২০২২ ২০:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক: সহকর্মী এবং শুভানুধ্যায়ীদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নন্দিত গীতিকার, কবি ও সাংবাদিক কে জি মোস্তফা।  সোমবার (৯ই মে) দুপুরে, তাঁর মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবে নেয়া হয়। নামাজে জানাজা শেষে বিকেলে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয় বরেণ্য এই সাংবাদিককে। রোববার রাতে ৮৪ বছর বয়সে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন কে জি মোস্তফা।

পঞ্চাশ বছর ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাথে ছিলো তার ভীষন সখ্যতা। কতো সৃষ্টিশীল কাজ, কতো আড্ডা, কতো সময় সেখানে পার হয়েছে নন্দিত গীতিকার, কবি ও সাংবাদিক কে জি মোস্তফার। সেই প্রিয় প্রাঙ্গনেই সোমবার (৯ই মে) শেষবারের মতো এলো কে জি মোস্তফার নিথর দেহ। ফুলেল শ্রদ্ধা জানালেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী, বন্ধু স্বজন।

আড্ডা প্রিয় সৃজনশীল এই মানুষের স্মৃতিচারণ করে সহকর্মীরা বলেন, সৃষ্টিশীলতার মাঝেই বেঁচে থাকবেন কে জি মোস্তফা। পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য দোয়া চেয়েছেন স্বজনেরা।

রোববার রাতে রাজধানীর আজিমপুরে নিজ বাসায় অসুস্থবোধ করলে কে জি মোস্তফাকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৪ বছর।

‘দৈনিক গণকণ্ঠ’ ‘দৈনিক স্বদেশ’ ‘দৈনিক জনপদ’ এবং ‘সচিত্র বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় কাজ করেছেন বর্ষিয়ান এই সাংবাদিক। সৃষ্টিশীলতার নানা শাখায় তাঁর ছিলো সমান দক্ষতা । ছাত্রজীবনেই তাঁর কবিতা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ষাটের দশকে বেশ কিছু অসাধারণ গান লিখে স্মরণীয় হয়েছিলেন এই গীতিকার। ‘তোমারে লেগেছে এত যে ভালো’, ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’ এমন অনেক জনপ্রিয় গানের গীতিকার ছিলেন কে জি মোস্তফা। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন। সৃজনশীল কাজের জন্য পেয়েছেন সম্মাননা।

বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে নামাজে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয় বরেণ্য এই লেখক  ও সাংবাদিককে।

 

BRS/shimul