ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গড়াই নদীর ভাঙ্গনে হুমকির মুখে বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে বাড়ি-ঘর, মসজিদ, রাস্তাঘাট ও কয়েক’শ একর ফসলি জমি। স্থানীয়দের আশঙ্কা, ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হয়ে যাবে জিকে সেচ প্রকল্পের একমাত্র খালটিও। বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেখানকার চাষাবাদ।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বড়–রিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক। গড়াই নদীর কয়েক বছরের ভাঙ্গনে সহায় সম্পত্তি হারিয়ে নিঃস্ব। এখন অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালান। শেষ সম্বল বসত বাড়ির অর্ধেক চলে গেছে নদী গর্ভে। বাকি অংশটুকুও হুমকির মুখে।
শুধু মালেকই নয়; তার মত অনেকেই গড়াই নদীর ভাঙনের শিকার হয়ে বসত ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে শৈলক’পা উপজেলার বড়–রিয়া, কৃষ্ণনগর, মাঝদিয়া, মাদলা, উলুবাড়িয়া ও নলখোলাসহ নদী তীরের কয়েকটি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ। শুধু বসতবাড়ি আর আবাদি জমিই নয়, হুমকির মুখে রয়েছে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের প্রধান খালটিও। এটি বিলীন হলে ব্যাহত হবে ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও মাগুরার কৃষকদের চাষাবাদ। স্থানীয়দের অভিযোগ, অস্থায়ীভাবে তীর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা কাজে আসেনি।
অস্থায়ী বাঁধ না দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি সারুটিয়া ইউনিয়ন মাহমুদ হাসান মামুনের।
ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদুর রহমান জানালেন, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ঝিনাইদহে ২২ কিলোমিটার জুড়ে গড়াই নদীর ভাঙন রোধে শুধু গত অর্থ-বছরেই ব্যায় করা হয়েছে ৩ কোটি টাকা।
rocky/ramen