নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম আত্মসমর্পণের পর তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশে হাজি সেলিম নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। ২০০৭ সালে হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই মামলা করেছিল দুদক।
নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে জেলে যেতেই হলো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও পুরনো ঢাকার প্রভাবশালী নেতা হাজী সেলিমকে। তার আত্মসমর্পণের খবর পেয়ে রোববার (২২শে মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে ভিড় করেন তার সমর্থক নেতাকর্মীরা।
বেলা ৩টার দিকে আদালতে হাজির হন এই সংসদ সদস্য। আগেই তার আইনজীবী জামিনের আবেদন পেশ করেন। তবে আদালত জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই আদেশের পর হাজি সেলিমকে প্রিজনভ্যানে করে কোরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে আদালত থেকে নিয়ে যায় পুলিশ।
গত বছরের ৯ই মার্চ হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রেখে রায় দেয় হাইকোর্ট। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় এ বছরের ১০ই ফেব্র“য়ারি। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। সে নির্দেশ অনুযায়ী হাজী সেলিম রোববার আত্মসমর্পণ করেন। সাজা বহাল এবং আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়ার পরও হাজী সেলিম সম্প্রতি গোপনে বিদেশে গিয়েছিলেন, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
দুদকের আইনজীবী জানান, এই রায়ের পর হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য পদ থাকা, না থাকার বিষয়ে স্পিকার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
তবে হাজি সেলিমের আইনজীবী জানান, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা।
জেল কোড অনুযায়ী হাজি সেলিমকে প্রথম শ্রেণীর বন্দির মর্যাদা প্রদান ও চিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Rakib/sharif