নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের (সাবেক দ্য ফারমার্স ব্যাংক) পাঁচ শাখা থেকে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১২ প্রতিষ্ঠানের ঋণ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। আজ রোববার (১২ই জুন) দুদক থেকে পাঠানো এক চিঠিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করেছে সংস্থাটি। পদ্মা ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও’র কাছে এসব নথি চাওয়া হয়েছে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারির নেতৃত্বে একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন। টিমের অপর সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান। দুদকের তলবি চিঠিতে চাহিদাকৃত নথিপত্র ও রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত কপি ১৬ই জুনের মধ্যে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
যেসব প্রতিষ্ঠানের নথি তলব করা হয়েছে:
মতিঝিল শাখা থেকে ঋণ নেওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, নাহার ব্র্যান্ড অয়েল ইন্ডাট্রিজ লিমিটেড, এগ্রো এরিনা এসোসিয়েটস, আবেদা মেমোরিয়াল হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড ও উইনসাম ইমপেক্স। গুলশান কর্পোরেট শাখা থেকে ঋণ নেওয়া চিটাগং ফিশারিজ, এ্যাপেল গ্লোবাল টেল কমিউনিকেশনস লিমিটেড, গলফ ওরেন্ট সিওএস ও এগ্রোটেক অটো রাইস মিলস লিমিটেড।
অপরদিকে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেঙ্গল গ্র“প লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু ও তার স্ত্রী মহুয়া খায়েরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার গত ২৩শে মার্চ তাদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশের প্রেক্ষিতে খায়ের দম্পতি দুদকে সম্পদের হিসাব জমা দেন।
এছাড়া বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আব্দুল জলিল মিয়ায় বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ফারাইজুল ইসলামের বিরুদ্ধেও মামলার অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। সাবেক উপকর কমিশনার খায়রুজ্জামান ও তার স্ত্রীর সম্পদের হিসাব ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুদক।
EHM/sharif