ঈদের ছুটিতে বিশুদ্ধ বায়ু পেল রাজধানীবাসী

প্রকাশিত: ১৪-০৭-২০২২ ১৪:২৭

আপডেট: ১৪-০৭-২০২২ ১৪:৪৪

ফাহিম মোনায়েম: ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় প্রায় দূষণশূন্য দিনযাপনের সুযোগ পেলেন নগরবাসী। এই সময়ে যারা ঢাকায় থাকলেন, তারা পেলেন বিশুদ্ধ বায়ু। শব্দদূষণের আগ্রাসনহীন পরিবেশ। বায়ুমান নির্ণয়কারী প্রতিষ্ঠান ‘একিউআই’ ও ‘ক্যাপস’ এর গবেষণা বলছে, ঈদের আগে ও পরের ৬ দিন ঢাকার মানুষ বিশুদ্ধ বায়ুতে শ্বাস নেয়ার সুযোগ পায়। এই সময়টায় বন্ধ থাকে বায়ু ও শব্দ দূষণের সবগুলো উৎস।

নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, যেন শিল্পী তার তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। এমন স্নিগ্ধ দৃশ্যই বলে দিচ্ছে রাজধানীর পরিবেশ কতটা স্বস্তিদায়ক। বিশ্বে বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণের শহর হিসেবে তালিকার  প্রথম বা দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকা ঈদের ছুটির এই সময়ে অনেকটাই মুক্ত দূষণ থেকে। 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঈদের ছুটিতে প্রায় ১ কোটি মানুষ ঢাকা ছেড়ে যায়। কমে গাড়ি চলাচল, বন্ধ থাকে শিল্প কলকারখানা। ঢাকাকে ঘিরে থাকা ইটভাটাগুলো থেকে ছড়ায় না কালো ধোয়া। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এসময় রাজধানীর অলিগলিতে কিংবা সড়কের চারিধারে থাকা গাছপালা সৌন্দর্য ছড়ায়। যানজটমুক্ত, শব্দ দূষণ বিহীন এই সময়ে, বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে প্রকৃতির কাছে ছুটে যান অনেকেই। 

একটি শহরে গাড়ির কালো ধোঁয়া, নির্মাণকাজের ধুলা ও শিল্পকারখানার ধোঁয়া মিলে বায়ুর মান খারাপ হয়। ঈদের এই সময়ে সবগুলো উৎসই বন্ধ। বায়ুমান গবেষণা সংস্থা ‘একিউআই’ ও ‘ক্যাপস’ এর গবেষণা বলছে, ঈদের আগে ও পরের ৬ দিন বিশুদ্ধ বায়ু পায় রাজধানীর মানুষ। 

গবেষকরা বলছেন, এমন পরিবেশ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সবাই যদি দায়িত্বশীল আচরণ করে, তাহলে বিশ্বের তালিকায় শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা শহরের তালিকা থেকে বিদায় নেবে ঢাকা। এবছর আর এমন নির্মল পরিবেশ পাবে না এই নগরীর বাসিন্দারা। আগামী সপ্তহের শুরু থেকেই রাজধানী ফিরে যাবে তার পুরনো চিত্রে। পরিণত হবে বায়ুদূষণ আর শব্দদূষণের নগরীতে। 

FM/sharif