এজাজুল হক মুকুল: দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগের শিক্ষার মান ও সার্বিক পরিবেশ নিয়ে আছে প্রশ্ন। অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগও আছে। তারপরও অনুমোদন পেতে আরো ১১৪টি নতুন আবেদন জমা পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরানো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা বেশি জরুরী।
দেশে অনুমোদিত ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চালু আছে ১০০টি। অনুমোদন নিয়ে চালু করতে পারছে না ৪টি। মামলাজটে আরও ৪টি বন্ধের পথে। অনিয়মে আরো কয়েকটির দশা করুণ।
আর্থিক সংকটে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। এমনকি কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সঠিক সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসেও যেতে পারছে না বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ অবস্থায় নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন না দেওয়ার পক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, সীমিত জনবল দিয়ে যেখানে শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেখানে আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তা পরিচালনা চ্যালেঞ্জ হবে বলে জানালেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, পর্যাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশে রয়েছে। নতুন করে অনুমোদন না দিয়ে যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, সেগুলোকে মান নিশ্চিত করা জরুরী বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়, সেটা কিন্তু গ্রহণযোগ্য হবে না বলেও মত তাদের।
EHM/sharif