শেখ হারুন: রাজধানীতে বেশ কয়েকটি প্রশস্ত সড়ক দখল করে রাখা হয়েছে সারি সারি বাস ও অন্যান্য যানবাহন। অবৈধ পার্কিংয়ের ফলে সড়ক হয়ে গেছে সংকুচিত। তীব্র যানজটসহ চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয় চলাচলকারীদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়কে অবৈধ পার্কিং বন্ধ করা না গেলে ঢাকা শহরে যানজট কমানো যাবে না।
রাজধানীর মিরপুরের ভাষানটেক বাজার থেকে শুরু করে ১৪ নম্বর গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের বেশিরভাগ থাকে অবৈধ দখলে। ভাষানটেক বাজার এলাকার ১২০ ফুট প্রশস্ত সড়কের মাত্র ৩০ শতাংশ ব্যবহার উপযোগি রয়েছে। সড়কের একপাশে রাখা সারি সারি পিকআপ, টেম্পু, সিএনজি, অটোরিকশা এবং ব্যক্তিগত গাড়ি। চলে মেরামতের কাজও। এমনকি নষ্ট বাসও ফেলে রাখা হয় এই সড়কের ওপরে।
অন্যপাশে রাস্তার ওপরেই তৈরী হচ্ছে বিভিন্ন ফার্নিচার, বসেছে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান। ফুটপাত তো দখল হয়েছেই, বাদ যায়নি সড়কও।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজের সামনের সড়কের অবস্থা আরো খারাপ। সড়কের দুপাশে অবৈধ পার্কিং এবং ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় যাতায়াতে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়েন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা।
খিলগাঁওয়ের আনসার ক্যাম্পের সামনের সড়কজুড়ে রাখা বিভিন্ন কোম্পানির বাস। কমলাপুরের টিটিপাড়া এবং অতীশ দিপঙ্কর সড়কের ওপর কার্গোসহ মালবাহি ট্রাক রাখায় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে দূরপাল্লার বাস রাখায় রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে হয়েছে অবৈধ লেগুনা স্ট্যান্ড।
একই অবস্থা আজিমপুর সড়কে। সারিবদ্ধভাবে রাস্তার ওপর পার্কিং করে রাখা থাকে বিভিন্ন কোম্পানির বাস। অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে রাস্তায় স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে ।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যথাযথ পরিকল্পনা এবং আইন প্রয়োগে ব্যর্থতার কারণে বেশিরভাগ সড়ক অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে।
সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবৈধ পার্কিং বন্ধ করতে রাজধানীর অপেক্ষাকৃত কম ব্যস্ত এলাকায় ইজারার মাধ্যমে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সাথে সমন্বয় করে সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও জানান তারা।
HAR/shamim