নিজস্ব সংবাদদাতা: দিনাজপুরে পাটের চাষ বাড়লেও এবার দাম নিয়ে খুশি নয় পাট চাষিরা। বৃষ্টি না হওয়ায় পাট ঘরে তুলতেও বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। করোনা, যুদ্ধ সব মিলিয়ে বিশ্বে পাট পণ্যের চাহিদা কমেছে, সাথে রপ্তানিও কমেছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে, জয়পুরহাটে ফলন ভালো হলেও পাট পঁচানোর মতো জলাধার পাচ্ছেন না পাট চাষিরা।
দিনাজপুর জেলায় এবছর সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। গেলো কয়েক বছর ধরে পাটের দর ভালো পাওয়ায় এবার পাট চাষ বেশি হয়েছিলো। কিন্তু কৃষকদের অভিযোগ, এবার দাম ভালো পাচ্ছেন না তারা।
গত বছর প্রতি মন পাট বিক্রি হয়েছে ৩৪শ থেকে ৩৬শ টাকায়, এবার তা বিক্রি হচ্ছে ২২শ থেকে ২৪শ টাকায়। এছাড়া বৃষ্টি কম হওয়া ও তাপদাহে পাটের রং নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকদের দুঃশ্চিন্তা বেড়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে নানা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
এদিকে, পাটকল মালিকরা জানালেন, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা কমেছে। সেই সাথে কমেছে রপ্তানি।
এদিকে, জয়পুরহাটে আবহাওয়া পাট চাষের উপযোগী হওয়ায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। তবে পাট পঁচানোর মতো জলাধার পাচ্ছেন না এই জেলার কৃষকরা।
জয়পুরহাটে ৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এ থেকে উৎপাদন হবে প্রায় ৩৯ হাজার ২৭৬ বেল পাট।
MHS/joy