ডেস্ক প্রতিবেদন: উত্তরাঞ্চলে বন্যার পানি কমলেও এখনো দুর্ভোগ কমেনি। লালমনিরহাট সদর, হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার ১০টি এলাকায় তিস্তার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি ও বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এদিকে, নদনদীর পানি কমায় ভাঙন শুরু হয়েছে কুড়িগ্রামেও। আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের।
বন্যার পানি কমা শুরু হতে না হতেই লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। এরই মধ্যে লালমনিরহাট সদর, হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলায় ১০টি পয়েন্টে তিস্তার ভাঙন তীব্র আকার ধারন করছে। নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ, বসতভিটা, আবাদি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙন আতংকে নির্ঘুম সময় কাটছে তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের।
ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন নিরাপদ জায়গায়। ঠাঁই নিচ্ছেন সরকারি রাস্তার উপর ও অন্যের জমিতে। ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মানের দাবি জানালেন তারা।
জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন রোধের চেষ্ঠা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে, কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ সব কটি নদনদীর পানি কমেছে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে ভাঙন। তিন উপজেলায় ৫টি এলাকায় নদ-নদীর ভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে সদর উপজেলার চর যাত্রাপুর বেড়িবাঁধ ও যাত্রাপুর বাজার। সারডোব এলাকায়ও ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের অব্যাহত ভাঙনে হুমকিতে পড়েছে আরডিআরএস বাজার ও চর সারডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
FR/shimul