সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা: মৃত মানুষকে জীবিত দেখিয়ে কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণের টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি বিভিন্ন প্রকল্পে মৃত ও ভুয়া ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। কৃষকদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ উঠেছে। যদিও তা মানতে নারাজ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। তবে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সিরাজগঞ্জে চৌহালী উপজেলার আহম্মদ আলী মারা গেছেন দুই বছর আগে। অথচ এ বছরের মার্চে চৌহালী উপজেলা কৃষি অফিসের একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসকে তার কৃষিকাজের নমুনাও দেখিয়েছেন। এজন্য তিনি অর্থও পেয়েছেন। এমন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে চৌহালী উপজেলা কৃষি অফিসে।
শুধু আহম্মদ আলী নয়, এমন মৃত অনেকের নাম ব্যবহার করে প্রকল্পের অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে এমন অনেকের নাম, যারা জীবিত থাকলেও সংশ্লিষ্ট কাজে অংশ নেননি। শুধুমাত্র অর্থ আত্মসাতের জন্য তাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহম্মেদের বিরদ্ধে।
তালিকায় নাম থাকা কৃষকেরা বলছেন, কাগজে কলমে তাদের নাম ও স্বাক্ষর থাকলেও তারা এর সাথে জড়িত নন। কোন প্রকার প্রশিক্ষণ তারা নেননি। অংশ নেননি প্রদর্শনীতেও। গ্রহণ করেননি অর্থ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানালেন, উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে গত তিন অর্থবছরে ৮ থেকে ১০ টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এই সকল প্রকল্পের সুবিধাভোগী হিসেবে যাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, তারা কেউই প্রকল্পে কোনভাবেই জড়িত ছিলেন না।
তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহম্মেদ।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাআফসানা ইয়াছমিন।
এ বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি স্থানীয় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
FR/joy