নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৭ বছরেও শেষ হয়নি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির দেশব্যাপী একযোগে বোমা হামলার ঘটনায় হওয়া সব মামলার বিচার কাজ । তদন্তে গাফিলতি এবং সাক্ষী ও আসামিদের নাম-পরিচয়সহ নানা তথ্যপ্রমাণের অভাবে ১৬১টি মামলার মধ্যে এখনো নিস্পত্তি হয়নি ৫৯টির। রায় হয়েছে ১০২টি মামলার। ৬৬০ জন আসামীর মধ্যে ৩৫ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে সাড়ে তিনশো জঙ্গির। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জঙ্গিবাদ দমনে সরকার বদ্ধপরিকর।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। ওইদিন একযোগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ৫০০ স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দেয় তারা। ওই হামলায় ২ জন নিহত ও দু’শতাধিক মানুষ আহত হয়।
এর আগেই জোট সরকারের প্রথম দিকে ‘প্রচলিত বিচার পদ্ধতি বাতিল ও ইসলামী রাষ্ট্র গড়ে তোলার পক্ষে’ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচারপত্র দিয়ে প্রকাশ্যে আসে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। এই সংগঠনের আমির শায়খ আবদুর রহমান ও সামরিক শাখার প্রধান সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইও সেইসময় উত্তরাঞ্চলে ত্রাস সৃষ্টি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু জানান, আলোচিত এই বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া ১৬১টি মামলার মধ্যে ১৪৯টি মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরমধ্যে ১০২টি মামলার রায় হয়েছে। যাতে ৩৫ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে আরো ৩৫০ জনের। বাকি মামলা গুলোর বিচার কাজ এখনও শেষ হয়নি।
নিম্ন আদালতে রায় হওয়া মামলার বেশিরভাগই এখনো উচ্চ আদালতে বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে ও বিচার হওয়ায় জঙ্গিরা বড় ধরণের হামলা করার সক্ষমতা হারিয়েছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
EHM/sat