নিজস্ব প্রতিবেদক: পুরান ঢাকায় প্রায় দুই হাজার অবৈধ কারখানা ও আড়াই হাজার ভবন শনাক্ত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিভাবে ও কার অনুমোদনে চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। শিগগিরি এসব অবৈধ কারখানা ও ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সকালে চকবাজারে সা¤প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন মেয়র।
রাজধানীর পুরান ঢাকায় রাসায়নিকের গুদাম ও প্লাস্টিক কারখানাসহ অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ ভবন রয়েছে। যেখানে মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। তখন সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও তা আর পূরণ হয়না। গেলো সোমবারও চকবাজারে আগুনে পুড়ে মারা যায় ছয়জন।
আগ্নিকান্ডের ঘটনার পর থেকেই ভবনের মালিক রানা পালাতক। তবে ভবনের নিচে অবস্থিত বরিশাল হোটেলের মালিক ফখরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে চকবাজার থানা পুলিশ। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়াদের সবাই বরিশাল হোটেলের কর্মচারি।
এই অগ্নিকান্ডের দু’দিন পর ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটিকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এসময় তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা বলেন, দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের বেশিরভাগ ভবনে এধরনের প্লাস্টিকের কারখানা থাকলেও নেই নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা।
অনুমোদনহীন অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কারখানা কিভাবে চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র।
মেয়র জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরান ঢাকা থেকে ৫০০ কারখানা ও গুদাম স্থানান্তর করা হবে। প্রায় আড়াই হাজার অবৈধ ভবন শনাক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তাপস বলেন, পর্যায়ক্রমে এসবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুরান ঢাকায় নতুন করে আর যাতে রাসায়নিকের গুদাম, প্লাস্টিক কারখানা ও অবৈধ ভবন গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য তদারকি বাড়ানো হবে বলেও জানান দক্ষিণের মেয়র।
Akash/shimul