মুক্তা মাহমুদ: বার বার বাংলাদেশের অকাশসীমা লঙ্ঘন ও সীমান্তের এপারে গোলা পড়ার ঘটনায় মিয়ানমারকে সতর্ক করা হলেও আবার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। মিয়ানমারের এমন আচরণ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ আটকে দিতে চায় বলে শংকা দেশের কূটনীতিকদের। এছাড়া জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তবে উস্কানির মুখে বাংলাদেশের ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার প্রশংসা করেন কূটনীতিকরা।
যে কোন দেশের সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। কিন্তু বার বার বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ঢুকে পড়ছে মিয়ানমারের সামরিক হেলিকপ্টার ও জঙ্গি বিমান। গেল শনিবার মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় এসে পড়ে। এর আগে ২০ ও ২৮শে আগস্টে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় একই এলাকায় এসে পড়ে।
এসব ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সতর্ক করার পরও এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না বলে ঢাকাকে জানালেও নেপিদো কথা রাখছে না।
এসব ঘটনা দেশটির বেপরোয়া আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। এবং রোহিঙ্গদের প্রত্যাবসান প্রক্রিয়া আরো বিলম্বিত করার কৌশল মনে করেন এই কূটনীতিক।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বাড়াবাড়ি কেবল তাদের অভ্যন্তরেই নয়, আঞ্চলিক শান্তিও নষ্ট করছে। মিয়ানমার সীমান্তের রক্ষী অস্থিরতার কারণে ওই অঞ্চলে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সতর্ক রয়েছে।
/sanchita