ডেস্ক প্রতিবেদন: আউশ ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নওগাঁ ও নাটোরের চাষীরা। নওগাঁয় চলতি মৌসুমে আউশের উৎপাদন ভালো হলেও কৃষকদের খরচ বেশি হয়েছে। একইসাথে বাজারে ধানের দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। এদিকে নাটোরে এবছর আউশের ফলন কিছুটা কম।
নওগাঁর বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন সোনালী ধানের এমন চোঁখ জুড়ানো দৃশ্য। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন আউশ ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে, ধানের ফলনে খুশি তারা। তবে এ বছর অনাবৃষ্টির কারণে বেশি সেচ দিতে হয়েছে। এছাড়া, সার, কীটনাশক ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কিন্তু বাজারে দাম কমে যাওয়ায় চিন্তার ভাজ পড়েছে চাষীদের কপালে।
চলতি বছর জেলায় ৫৫ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ হয়। প্রতি বিঘা জমি চাষ করতে কৃষকদের খরচ হয় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। সেই সাথে রয়েছে শ্রমিকের মজুরি। বিঘা প্রতি উৎপাদন হয় ১২ থেকে ১৪ মণ ধান। বাজারে প্রতি মন ধান বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। এ অবস্থায় বাজারে ধানের দাম আরও কমলে লোকসানের পড়তে হবে চাষিদের।
তবে, কৃষি বিভাগ বলছে, ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের লোকসান হবে না। এদিকে, অনাবৃষ্টির কারণে নাটোরে এ বছর আউশ ধানের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবে, বাজারে দাম ভাল থাকায় লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষকরা স্বল্পকালীন উন্নত জাতের আউশ ধান চাষ করায় বর্ষা মৌসুমে আগের এক ফসলের জায়গার এখন দু’টি ফসল চাষ করতে পারছেন। চলতি বছর নাটোরে ১০ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ হয়েছে।
Kaniz/sharif