তিস্তা ও ধরলার ভাঙনে নিঃস্ব বহু মানুষ

প্রকাশিত: ১৩-০৯-২০২২ ০৮:২৯

আপডেট: ১৩-০৯-২০২২ ১২:৫৯

ডেস্ক প্রতিবেদন: ভয়াবহ নদী ভাঙনের মুখে পরেছে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের তিস্তা ও ধরলা পাড়ের মানুষ। প্রতিদিন নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বাড়িঘর ও কৃষিজমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। গৃহহীন হয়ে ভাঙন কবলিতরা আশ্রয় নিয়েছে খোলা আকাশের নিচে। কেউ বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন নিরাপদ স্থানে। ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা।

প্রতি বছর নদীর পানি কমতে শুরু করলেই ভাঙন শুরু হয় লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে তিস্তা ও ধরলা নদীতে। ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ নদীগর্ভে চলে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা।

গত একমাস ধরে কুড়িগ্রামের উলিপুরে বজরা এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার ব্যাপী ভাঙ্গন শুরু হয় তিস্তা নদীতে। গত ৭দিনেই প্রায় তিন শতাধিক বাড়িঘর, ৫শ’ বিঘা ফসলী জমি, গাছপালা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলিন হয়েছে। এক রাতেই নদীগর্ভে চলে গেছে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ  ৩০ থেকে ৪০টি বাড়ি। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মো. আব্দুল­াহ আল মামুনের দাবি, বেশি ভাঙ্গন প্রবণ ৫শ’ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। লালমনিরহাটেও তিস্তা ও ধরলা নদীতে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বাড়িঘর নিরাপদ স্থানে নিচ্ছে অনেক। গত এক সপ্তাহে নতুন করে তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তি এলাকার অর্ধশতাধিক বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন স্থানীয়রা। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানালেন, নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে ধরলায় একটি সমীক্ষা চলছে। এদিকে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে স্মারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী।

MBK/sharif