নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজও বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীতে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবীরা। উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির পাশাপাশি বইছে ঝড়ো হাওয়া। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতায় থাকায় প্লাবিত হয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল। কোথাও কোথাও পানি উঠেছে শহরতলীতেও।
মঙ্গলবার (১৩ই সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুর, বাড্ডা, হাতিরঝিল, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন পথচারীরা। বাসা থেকে যারা ছাতা নিয়ে বেরিয়েছেন তারা কিছুটা রক্ষা পেলেও অনেককে ভিজতে হয়েছে। সড়কে পর্যাপ্ত রিকশা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ।
রাজধানীতে রাত থেকে সকাল অবদি বৃষ্টিতে যানজট আর জলজটে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। এই বৃষ্টি তাপমাত্রা কমিয়ে শান্তি এনে দিলেও স্বস্তি ছিল না রাজধানীর রাস্তায়। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে,ভারতের মধ্যপ্রদেশে সৃষ্ট স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে দেশের বেশির ভাগ স্থানে। যা বুধবারেও অব্যাহত থাকবে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
গত দুদিন ধরেই রাজধানীর আকাশ ছিল মেঘলা, থেমে থেমে বৃষ্টিও হয়। সোমবার রাত থেকে মঙ্লবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় কর্মব্যস্ত নগরবাসীকে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও একই অবস্থা। এদিকে বৃষ্টির পানিতে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
অফিসগামী মানুষ বাস বা অটোরিকশার অপেক্ষায় রাস্তায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেন। কেউ কেউ গাড়িতে উঠতে পারলেও বাকিরা হেঁটেই গন্তব্যে রওনা হন। বৃষ্টির সময় নগরীতে গণপরিবহন কম থাকলেও পরে চিত্র বদলে যায়। সড়কে পানি জমে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট । তখন আরেক দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ছানাউল হক মন্ডল জানিয়েছেন, বুধবার পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
MNU/sharif