তানজিলা নিঝুম: গ্যাস সংকটে দেশের বড় শিল্প কারখানাগুলোতে কমেছে উৎপাদন। বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে পোশাক শিল্পের কারখানাগুলো। এ খাতে উৎপাদনে ক্ষতি হচ্ছে ২০ শতাংশের বেশি। গ্যাসের বিকল্প জ¦ালানি তেলের ব্যবহারে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। উৎপাদন কমে যাওয়া ও ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানি আয়ে ভাটা পড়বে বলে আশঙ্কা এ খাতের ব্যবসায়ীদের। রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিল্প কারখানায় গ্যাস নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
দেশে বৃহৎ শিল্পের সংখ্যা তিন হাজারের কিছু বেশি। উৎপাদনমুখী শিল্পের সঙ্গে জড়িত মোট কর্মসংস্থানের ৬৮ শতাংশই এ খাতে। এছাড়া কাঁচামালের ৬৩ শতাংশ ও বিদ্যুৎ-জ্বালানির ৫৬ শতাংশই ব্যবহার করে বৃহৎ শিল্পগুলো। বর্তমানে গ্যাস সংকটে বড় শিল্পের কারখানাগুলোতে উৎপাদন কমে গেছে। দেশের বড় শিল্পের মধ্যে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে তৈরি পোশাক শিল্প। রপ্তানি আয়ের ৮২ শতাংশই আসে এই খাত থেকে।
বৈশি^ক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চাহিদায় ভাটা পড়েছে। পোশাক শিল্পে ক্রয়াদেশ কমার পাশাপাশি বিদ্যুৎ-গ্যাসের স্বল্পতায় উৎপাদনও কমছে বলে জানান বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম ও নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
দেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শিল্প কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সরকারকে আরো কৌশলি নীতি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। বিদ্যুৎ-গ্যাস সংকটে কোন শিল্প কারখানা যেন বন্ধ না হয়, সেদিকে সরকারের নজর দেয়ার তাগিদও দিয়েছেন তিনি।
Tanzila/sharif