ভোলা সংবাদদাতা: নদী ও মুক্ত জলাশয়ে খাঁচায় মাছ চাষ করে সফলতা পাচ্ছে ভোলার মাছ চাষিরা। মুক্ত পানির কারণে এই মাছের স্বাদও নদীর মাছের মতো। তাই চাহিদা ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ফলে ভাসমান এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার বেকার যুবকরা।
ভোলায় তেতুলিয়া নদী ও খালে খাঁচা ফেলে মাছ চাষ শুরু করেছে জেলা সদরের ৫ শতাধিক চাষি। সদরের চর সমাইয়া, ভেদুরিয়া, ভেলুমিয়ার তেঁতুলিয়া নদী সহ ৭ উপজেলার বিভিন্ন খালের মুক্ত জলাশয়ে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ড্রামের উপর লোহার পাইপ, ও জাল দিয়ে তৈরি প্রতিটি খাঁচায় ছাড়া হয় মাছের পোনা। খাঁচা তৈরিতে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এতে বিভিন্ন জাতের তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, সর পুঁটি ও কার্প জাতীয় মাছ চাষ হচ্ছে।
প্রতিটি খাঁচায় হাজার থেকে ১২০০ মাছ চাষ করার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। পোনা ছাড়ার ৩ মাস পর প্রতিটি খাঁচা থেকে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার মাছ বিক্রি হয়। পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের পিকেএসএফ'র সহযোগিতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা বেকার যুবকদের বিনামূল্যে খাঁচা, মাছের পোনা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে মাছ চাষে সহায়তা দিচ্ছে।
খাঁচায় মাছ চাষের এই সম্ভাবনাকে টিকিয়ে রাখতে জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে নানা ধরনের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বললেন জেলা মৎস্য কর্মকতা মোল্লা এমদাদুল্যাহ। ভোলা সদর উপজেলার তেতুলিয়া নদীতে শতাধিক ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ হচ্ছে।
afroza/sharif