ক্যাসিনো কান্ড, ১৯টি মামলার তদন্তই হয়নি

প্রকাশিত: ১৯-০৯-২০২২ ১৪:১৬

আপডেট: ১৯-০৯-২০২২ ১৫:০৯

এজাজুল হক মুকুল: ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের তিন বছর পার হলেও, এখনও ১৯টি মামলার তদন্তই শেষ হয়নি। ওই অভিযানে দায়ের হওয়া ৫৫টি মামলার মধ্যে ৩৬টি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে র‌্যাব, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার সুযোগে অনেক আসামি জামিনে বের হয়ে গেছেন। 

২০১৯ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিলের ক্লাব পাড়ায় শুরু হয় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান। যা চলে প্রায় ২ মাস। অভিযানে মোট মামলা হয় ৫৫টি। গ্রেফতার করা হয় দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে। র‌্যাব, পুলিশ ও দুদক এই তিন সংস্থা এসব মামলার তদন্ত করে ৩৬টির প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে। তবে সাক্ষী হাজির না হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়ায় রয়েছে ধীরগতি। ইতিমধ্যে অনেক আসামি জামিনে বেরও হয়ে গেছে।  

যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসলাম ইসমাইল হোসেন সম্রাট এরই মধ্যে জামিন পেয়ে জেল থেকে বের হয়েছেন।  যুবলীগের আরেক বহিস্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া জামিনে মুক্ত। ক্যাসিনো কাণ্ডের ২৩টি মামলার তদন্ত করছে দুদক। এর মধ্যে ১২টির অভিযোগপত্র দেয়া হলেও বাকিগুলোর অগ্রগতি নেই।

দুই বছর আগে অর্থ পাচার, টেন্ডারবাজি এবং অস্ত্র আইনের মামলায় জিকে শামীমের বিচার শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। অস্ত্র মামলায় পাপিয়া দম্পতির ২৭ বছরের কারাদণ্ড হলেও তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার বিচার শেষ হয়নি। আর জামিন নিতে মরিয়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সুলতান নামে খ্যাত তারেকুজ্জামান রাজিব। ছয় মাসের মধ্যে তার মামলা নিষ্পত্তির আদেশ রয়েছে উচ্চ আদালতের। 

ক্যাসিনো অভিযানে গ্রেফতার সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্থপাচারের মামলার সাক্ষ্য এখনো শেষ হয়নি। তার বিরুদ্ধে ৫৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মইনুল হক, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া এবং কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের শফিকুল আলম জামিনে রয়েছেন। র‌্যাব-সিআইডি মিলে অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩২টি মামলা করে। তদন্ত সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই মামলাগুলোর বেশির ভাগেরই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালে দুই মাসের ৫০টি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে জব্দ করা হয় ৫৮২ কোটি টাকা।

EHM/sanchita