শিল্প বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে কর্ণফুলী নদী

প্রকাশিত: ২১-০৯-২০২২ ০৮:০৫

আপডেট: ২১-০৯-২০২২ ০৯:২৪

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মহানগর থেকে প্রতিদিন ১৪০টন প্লাষ্টিক ও পলিথিন জাতীয় বর্জ্য নানাভাবে গিয়ে পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। তলদেশে জমা হওয়ায় তৈরি হচ্ছে নাব্যতা সংকট। ধ্বংস হচ্ছে নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ। এই পলিথিন আবার নানা প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করছে মানবদেহেও। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের গবেষণায় উঠে এসেছে এসব উদ্বেগজনক তথ্য। তাই পলিথিন বর্জ্য ধ্বংস করা বা পুনরায় ব্যবহার করার পাশাপাশি এর ব্যবহার অনেক সীমিত করার তাগিদ দিয়েছেন সচেতন মহল।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। যার মধ্যে ২৪৯ টন হলো প্লাষ্টিক ও পলিথিন জাতীয় পণ্য। এসব বর্জ্যের ৪৩ শতাংশ প্রতিদিন অপসারন করা হয় সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। বাকি ৫৭ শতাংশ বর্জ্য নগরীর নালা, খাল হয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ে। যার মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ ১৪০টন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক স্বপন কুমার পালিত এর তত্ত্বাবধানে দুই শিক্ষার্থী পিয়াল বড়ুয়া ও আল আমিনের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

প্লাষ্টিক ও পলিথিন জাতীয় এসব বর্জ্য নদীর তলদেশে জমা হচ্ছে। যা নদীকে সংকুচিত করছে, অস্তিত্বকে ফেলছে হুমকির মুখে। তাই এই ধরনের বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে রাস্তা নির্মাণে বিটুমিনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক স্বপন কুমার পালিত। 

এদিকে, কর্ণফুলী নদী বাঁচাতে পলিথিন জাতীয় পণ্যের ব্যবহার একদম সীমিত করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে নগরীর মাষ্টারপ্ল্যানের আওতায় আনার দাবি জানালেন নগর পরিকল্পনাবিদ ও সচেতন নাগরিকরা। কর্ণফুলি রক্ষায় প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার কমাতে নাগরিক সচেতনতা বাড়ানোর উপরও গুরুত্ব দিলেন তারা।

lamia/sharif