তানজিলা নিঝুম: পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়া কোন স্থায়ী সমাধান না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, বাজার তার নিজস্ব গতিতে চলবে। ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দিলে বড় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবে। পাশাপাশি বাজার কতটা টেকসই হবে, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে বাজার পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেয়ার পর থেকে পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসইএ’র প্রধান মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৫৩৫ পয়েন্টে। আর দিনশেষে ৫৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা বেড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮১৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আর শেষ কার্যদিবসে ডিএসই’র প্রধান মূলসূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে উঠেছে। তবে সূচক বাড়লেও ১৪২ কোটি ৬ লাখ টাকা কমে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
ছোট কোম্পানির শেয়ার দ্রুত বাড়লে তা আবারো নেমে যাবার আশঙ্কা থাকে বলে মনে করেন, অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ। শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেওয়ায় বাজার কতটুকু টেকসই হবে, তা নিয়ে শ্কংা প্রকাশ করেন তিনি।
পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বাজার কারসাজিকারীদের আইনের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ভালো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ না বাড়লে পুঁজিবাজার টেকসই করা সম্ভব না বলেও মনে করেন, এই অর্থনীতিবিদ।
গত সপ্তাহের পুঁজিবাজারের চিত্র
কার্যদিবস লেনদেন (টাকা) সূচক (পয়েন্ট)
রবিবার ১ হাজার ৮১৩ কোটি ৯২ লাখ ৬৫৩৫ সবুজ
সোমবার ১ হাজার ৯৮৯ কোটি ৮৩ লাখ ৬৬০০ সবুজ
মঙ্গলবার ২ হাজার ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ ৬৫৯৬ লাল
বুধবার ১ হাজার ৮০৮ কোটি ১৯ লাখ ৬৫৫১ লাল
বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৬৬৬ কোটি ১৩ লাখ ৬৫৬৪ সবুজ
সূত্র: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ
Nijhum/sharif