আসছে নির্বাচনে এরশাদবিহীন জাপায় যেসব চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ২৩-০৯-২০২২ ১৪:৩০

আপডেট: ২৩-০৯-২০২২ ১৫:১০

রীতা নাহার: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় পার্টির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর এবারই প্রথম এরশাদবিহীন জাতীয় পার্টি অংশ নেবে জাতীয় নির্বাচনে। এরশাদের এলাকা বৃহত্তর রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে বরাবরই প্রভাবশালী জাতীয় পার্টি। তবে এরশাদবিহীন জাতীয় পার্টিকে নিয়ে কী ভাবছেন ভোটাররা? নির্বাচনী সমীকরণইবা কেমন হবে?

রাজনৈতিক জীবনে নানাভাবে বিতর্কিত সাবেক সামরিক শাসক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ছয়টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিবারই সবকটি আসনে জয়ী হয়েছেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলে থাকা অবস্থায় এরশাদ রংপুরের পাঁচটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন।

১৯৯৬এর নির্বাচনেও বিজয়ী হন। ২০০১, ২০০৮ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন এরশাদ। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি ৩৪টি আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হয়।২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২টি আসনে জিতে আবারও প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসে এরশাদের জাতীয় পার্টি।

এরশাদের মৃত্যুর পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে জাতীয় পার্টির জন্য প্রথম নির্বাচন। জাতীয় পার্টির ঘাঁটি উত্তরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ বলছেন, তাদের কাছে আজও জাতীয় পার্টি মানেই এরশাদ। উত্তরাঞ্চলের দলীয় নেতারা বলছেন, এরশাদ না থাকলেও তার নামই মুখ্য জাতীয় পার্টিতে।  

কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হলেও তার দেখানো পথেই এগিয়ে চলছে জাতীয় পার্টি। এরশাদের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদও অনেকটা নিস্ক্রিয় দলে। প্রায় এক বছর ধরে ব্যাংককে চিকিৎসাধীনতিনি। তার রাজনৈতিক সচিব বলেন, এরশাদ বা রওশনের বিকল্প নেই পার্টিতে।  

এরশাদের আদর্শকে ধারণ করেই জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান জিএম কাদের। দেহত্যাগ করলেও জাতীয় পার্টির চলার শক্তি এরশাদই।  

KNR/sharif