নিজস্ব প্রতিবেদক: শারদীয় দুর্গোৎসবের পাঁচদিনব্যাপী আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় দেবীর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যেদিয়ে। করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার সারাদেশে বিসর্জনের আগে অনুষ্ঠিত হয় বিজয়ার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। রাজধানীতে শোভাযাত্রা শেষে বুড়িগঙ্গা নদীতে দেয়া হয় প্রতিমা বিসর্জন।
পঞ্চমী তিথিতে বোধনে মর্ত্যে বরণ করা দেবী দূর্গাকে পাঁচদিনের পূজা অর্চনা শেষে দশমীতে জানানো হয় বিদায়। দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাসে ফিরে গেলেন। আবারও মর্ত্যলোকে ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় ভক্তরা চোখের জলে দেবীকে বিদায় জানান।
করোনার কারণে দুই বছর পর এবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর পলাশী মোড় থেকে পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বের হয় বিজয়া শোভাযাত্রা। এতে যোগ হয় রাজধানীর বিভিন্ন পূজা মন্ডপ থেকে আসা মিছিল।
কড়া নিরাপত্তায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এই শোভাযাত্রা পৌঁছায় বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটে। সেখানে দেয় হয় দেবীর প্রতিমা বিসর্জন। দেবীর এই বিদায়- প্রতীকী, তিনি সব সময়ই বিরাজমান বলে জানালেন ভক্তরা।
মর্ত্যে দেবী দুর্গার আগমনে ভক্তদের মাঝে এ কয়দিন যে উচ্ছ্বাস ছিল, বিদায়বেলা সেটি রূপ নেয় বিষাদে।
শাস্ত্রমতে, এবার দেবীদুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় হাতিতে চড়ে মর্ত্যে এসেছিলেন, আর স্বর্গে ফিরে গেলেন নৌকায় চড়ে। যার ফলে শষ্য ও ফসল উৎপাদন বাড়বে, জগতের কল্যাণ সাধিত হবে বলে মনে করেন ভক্তরা।
শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে নেওয়া নেয়া হয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা ছাড়াও দায়িত্ব পালন করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
Azmi/sat