নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহানকে তালাক দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (০৬ই অক্টোবর) আদালতে দেওয়া লিখিত জবাবে আল আমিন বলেন, বৈবাহিক সম্পর্কের তিক্ততা বৃদ্ধি ও অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গত ২৫শে আগস্ট স্ত্রী ইসরাতকে তালাক দিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এজন্য আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, স্ত্রীর করা মামলার আসামি আল-আমিন আজ আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে লিখিত জবাব দাখিল করেন। যেখানে উল্লেখ করা হয় যে, গত ২৫শে আগস্ট তিনি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ক্রিকেটার আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান বলেন, 'আমি তালাকের বিষয়ে কিছুই পাইনি। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। আমি ন্যায়বিচার চাই'।
গত ৭ই সেপ্টেম্বর আদালতে আল-আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইসরাত জাহান। মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬শে ডিসেম্বর বিয়ে হয় আল-আমিন ও ইসরাতের। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল-আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ দেন না এবং খোঁজ না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন। গত ২৫শে আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল-আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে তার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানান। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
এ মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে ২৭শে সেপ্টেম্বর জামিন পান আল-আমিন। ৬ই অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
MNU/sharif