ইংল্যান্ডের দলগত খেলা সাফল্যের ভিত্তি

প্রকাশিত: ১৪-১১-২০২২ ১৬:৪৫

আপডেট: ১৪-১১-২০২২ ১৬:৪৮

অস্ট্রেলিয়া থেকে এস.এম.সুমন: ২০১৯ থেকে ২০২২, এই সময়ের মধ্যে একদিনের এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দু’টি ট্রফি জিতেছে ইংল্যান্ড। ক্রিকেটের জনক হলেও, বিশ্বসেরার মুকুট মাথায় তুলতে ইংল্যান্ডকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই দুই ফরম্যাটের দু’টি বিশ্বকাপ জিতলো তারা। দলের সমন্বিত পারফরম্যান্সেই অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের নতুন চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ইংল্যান্ড এই সংস্করণের সেরা দল। তবে এবারের টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান ভারতের বিরাট কোহলি। ৬ ম্যাচে ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে বিরাট কোহলির সংগ্রহ ২৯৬ রান। আর সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ৮ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা  ১৫টি।

ইংল্যান্ড দলের ২০১৯’র একদিনের এবং ২০২২’র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন অলরাউন্ডর বেন স্টোকস। সময় যত গড়িয়েছে নিজেকে ততই পরিণত করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে কলকাতায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে বেন স্টোকসকে পরপর চার ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন ব্র্যাথওয়েট। ওই এক ওভারে পরপর চার ছক্কা হজম করে ইংলিশদের কাছে ভিলেন হয়ে গিয়েছিলেন স্টোকস। এরপর হতাশ না হয়ে নিজেকে ক্রমেই পরিণত করেছেন একজন ম্যাচ উইনার হিসেবে।            

২০১৯’র ফাইনাল এবং ২০২২’র টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দলকে দুই ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন করেছেন এই অলরাউন্ডার। তাই তো ম্যাচ শেষে অধিনায়ক জস বাটলারও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। 

ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল অধিনায়ক জস বাটলার বলেন, বেন হলো বড় ম্যাচের ক্রিকেটার। তার এই অসাধারণ ইনিংসের পেছনে আছে অভিজ্ঞতার ছাপ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ মানেই বেন স্টোকসের জ্বলে ওঠা আর ইংল্যান্ডের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা। প্রতিটি ম্যাচেই নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। দলের সম্মিলিত পারফরম্যান্সেই এই সাফল্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন ইংলিশ অধিনায়ক। বিশ্ব মঞ্চে সাফল্য পেতে হলে দলের সবার পারফরম্যান্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দলের সবাই দুর্দান্ত খেলেছে। সকলের প্রচেষ্টাতেই ইংল্যান্ড এখন টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাফল্য ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে সামনে আরও অনুপ্রেরণা যোগাবে। 

SMS/sat