রাজশাহীতে পরিবহন ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০২-১২-২০২২ ০৯:১১

আপডেট: ০২-১২-২০২২ ১৫:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক: মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন বন্ধসহ নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। এতে রাজশাহীর সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ধর্মঘটে কার্যত অচল পুরো বিভাগ। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তবে, শনিবার (তেসরা ডিসেম্বর) রাজশাহীতে বিএনপি’র সমাবেশ বানচাল করতেই পুরনো কায়দায় পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। 

রাজশাহী মহানগরীর শুক্রবারের (দোসরা ডিসেম্বর) চিত্র এটি। বাস ধর্মঘটে স্থবির নগরজীবন। বৃহস্পতিবার (পহেলা ডিসেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে এদিনও ছেড়ে যায়নি দূরপাল­া কিংবা আন্ত:জেলার কোনো বাস। নগরীর শিরোইল, ভদ্রা, গোরহাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে সারি সারি অলস দাঁড়িয়ে বিভিন্ন গন্তব্যের বাস-মিনিবাস।

অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটে সীমাহীন দুর্ভোগে এই অঞ্চলের সাধারণ যাত্রীরা। বাস না পেয়ে বিকল্প উপায়ে বাড়তি ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিতে ভরসা খুঁজছেন যাত্রীরা। 

তবে পরিবহন নেতারা বলছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্তে¡ও মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ হয়নি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলার কথাও জানান তারা।

যদিও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বক্তব্য ভিন্ন। রাজশাহীতে শনিবারের গণসমাবেশে বাধা দিতেই পরিকল্পিত ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। তবে সবকিছু এড়িয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হচ্ছে বলেও জানান তারা।

শুধু রাজশাহী নয়, বিভাগের আট জেলাতেও চলছে পরিবহন ধর্মঘট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেও বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। জয়পুরহাট থেকেও দুদিন ধরে কোনো বাস ছাড়ছে না। ঢাকার সাথে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তরের এই জেলা। 

বাস-মিনিবাস বন্ধ থাকায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। আন্ত:জেলা ও দুরপাল­ার বাস বন্ধ রয়েছে নওগাঁতেও। অনেকে বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়ায় অটোরিক্সায় ভরসা খুঁজছেন। নাটোর থেকে বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

GM/sharif