
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের ছাত্রদের যৌন হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম এ আদেশ দেন। এর আগে, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ড. এরশাদ হালিমকে সকল ধরণের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু বিরত রাখা হয়।
দীর্ঘদিন পুরুষ শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন এবং ঢাবির সাংবাদিক সমিতিতে একটি সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনা তুলে ধরেন।
এক ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, পরীক্ষায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ড. এরশাদ হালিম নিজের বাড়িতে ডাকেন এবং আমাকে আশ্বস্ত করেন, তিনি সমস্যার সমাধান করে দেবেন। কিন্তু বাসায় গেলে তিনি জানান, অনেক অসুস্থ আর নার্ভে কিছু সমস্যার কারণে তিনি মেয়েদের স্পর্শে কোনো অনুভূতি পান না, এজন্য তার স্ত্রী তার সঙ্গে থাকে না। ছেলেদের হাত শক্ত হওয়ায় তিনি ছেলেদের স্পর্শে অনুভূতি পান। এরপর এই শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতন করেন বলে ভুক্তভোগী জানিয়েছেন।
একজন শিক্ষার্থী জানান, পরীক্ষার সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তাকে বাসায় ডেকে শারীরিকভাবে আক্রমণাত্মক আচরণ করা হয় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বাধ্য করা হয়। এতে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, ড. এরশাদ হালিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে। যেহেতু তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন না, তাই এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি।
ডাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হায়দার বলেন, গত কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক কর্তৃক দুইজন ছাত্র যৌন হয়রানির শিকার হয়। ভুক্তভোগীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করলে সেই শিক্ষককে সকল ধরণের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মন্তব্য করুন