
মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে এ ফোনালাপ হয়।
রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই আলাপচারিতায় মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের পরিস্থিতি, বিশেষ করে গাজা উপত্যকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। হামাসের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাস্তবায়ন ও বন্দী বিনিময় সম্পর্কে দুই নেতা কথা বলেছেন। এছাড়া ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় হয়।
অন্যদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপটি অনুষ্ঠিত হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্যোগে। আলাপচারিতায় আগের কয়েকটি আলোচনার ধারাবাহিকতায় মধ্যপ্রাচ্য ও গাজার পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় হয়।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ফোনালাপে দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবিত গাজা উপত্যকার শান্তি ও স্বাভাবিকীকরণ পরিকল্পনা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন। পাশাপাশি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও সিরিয়ার স্থিতিশীলতা নিয়েও মতবিনিময় হয়।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রশংসা করেছিলেন এবং আশা প্রকাশ করেছিলেন যে এটি বাস্তবে সফলভাবে কার্যকর হবে। একই সঙ্গে তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন অপরিহার্য।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পুতিন ও নেতানিয়াহুর এই কথোপকথন মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় নতুন দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
পুতিন ও নেতানিয়াহুর মধ্যে এর আগে সর্বশেষ সর্বশেষ ফোনালাপ হয়েছিল গত ৬ অক্টোবর। সেসময় তারা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। পুতিন আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ফিলিস্তিনি সমস্যা সমাধানের সমর্থনে রাশিয়ার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মন্তব্য করুন