
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি হোয়াইট হাউজে এক অপ্রত্যাশিত বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। যে প্রেসিডেন্ট কিছুদিন আগেও মামদানিকে শতভাগ কমিউনিস্ট লুনাটিক বলে আক্রমণ করেছিলেন, সেই বৈঠকেই দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র—তাও আবার কোনো ধরনের উত্তেজনা ছাড়াই। এই বৈঠকটি সম্পন্ন হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও মামদানির এই বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার ট্রাম্পের জন্য ছিল একটি স্বস্তিকর পরিবর্তন। বিশেষ করে জেফ্রি এপস্টেইন-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে সমালোচনার মুখে থাকা ট্রাম্পের জন্য এই দৃশ্যটি রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক ছিল।
বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেন, আমাদের মধ্যে এতটা মিল থাকবে ভাবিনি। তিনি মামদানিকে মিস্টার মেয়র বলে সম্বোধন করেন এবং নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে তার সফলতা কামনা করেন।
ট্রাম্প ও মামদানি জানান, তাদের ব্যক্তিগত বৈঠকে তারা জীবনযাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি ও সাশ্রয়ী জীবনযাপনের মতো বাস্তব ইস্যুতে কথা বলেছেন। এই বিষয়গুলোই ছিল মামদানির নির্বাচনী প্রচারণার মূল কেন্দ্রবিন্দু।
ট্রাম্প দাবি করেন, মামদানির কিছু ধারণা তার ধারণার সঙ্গে মিলে যায়। এমনকি তিনি এও দাবি করেন যে তার কিছু সমর্থকও মামদানিকে ভোট দিয়েছেন। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া ট্রাম্প নিউইয়র্কে আরও বেশি আবাসন নির্মাণের মামদানির আহ্বানে বিশেষভাবে ইতিবাচক সাড়া দেন।
এই দুই নেতা অভিবাসন নীতি বা গাজার যুদ্ধের মতো প্রধান ও স্পর্শকাতর মতবিরোধগুলো সচেতনভাবে এড়িয়ে যান।
মন্তব্য করুন