মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

পঞ্চদশ সংশোধনীর রিটে পক্ষভুক্ত হলেন মির্জা ফখরুল

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯ এএম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয় পরিবর্তন করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অংশ বিশেষ বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আলাদা তিনটি আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। এ মামলায় পক্ষভুক্ত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চে আপিল শুরু হয়। তিনটি শুনানির জন্য আজ কার্যতালিকায় এক, দুই ও তিন নম্বর ক্রমিকে ছিল এটি।

এর আগে হাইকোর্ট আলাদা দুটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পঞ্চদশ সংশোধনীর অংশবিশেষ অসাংবিধানিক ও বাতিল করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদকসহ চার ব্যক্তি একটি আপিল করেছেন, যা কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। নওগাঁর বাসিন্দা মো. মোফাজ্জল হোসেন এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে করা আলাদা আপিল যথাক্রমে কার্যতালিকার দুই ও তিন নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন এনে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী এনেছিল। ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপসহ ওই সংশোধনীতে সংবিধানে ৫৪টি ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছিল।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরো আইন ও আইনের কয়েকটি ধারার বৈধতা নিয়ে গতবছর হাইকোর্টে আলাদা দুটি রিট আবেদন হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদকসহ পাঁচ ব্যক্তি একটি এবং নওগাঁর বাসিন্দা মো. মোফাজ্জল হোসেন আরেকটি রিট আবেদন করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।

হাইকোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করা হয়। এই দুটিসহ পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ক, ৭খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করা হয়। রায়ে গণভোটের বিধান সংক্রান্ত ১৪২ অনুচ্ছেদ (দ্বাদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে আনা) পুনর্বহাল করা হয়েছিল। পঞ্চদশ সংশোধনী আইন সম্পূর্ণ বাতিল না করে বাকি বিধানগুলোর বিষয়ে আইন অনুসারে পরবর্তী সংসদ সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

চলতি বছরের ৮ জুলাই ১৩৯ পৃষ্ঠার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর পঞ্চদশ সংশোধনী আইন সম্পূর্ণ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ চার ব্যক্তি। অন্য তিন ব্যক্তি হলেন এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। নওগাঁর বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেন আরেকটি লিভ টু আপিল করেন। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার অপর একটি লিভ টু আপিল করেন।

শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ গত ১৩ নভেম্বর লিভ টু আপিল মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) করে আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় তিনটি আপিল হয়, যার ওপর আজ শুনানি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
হাসিনার সঙ্গে রেহানা ও টিউলিপের কারাদণ্ড
প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি / হাসিনার সঙ্গে রেহানা ও টিউলিপের কারাদণ্ড
প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি : হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের রায় আজ
প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি : হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের রায় আজ
নির্বাহী বিভাগ থেকে পুরোপুরি আলাদা হলো বিচার বিভাগ
নির্বাহী বিভাগ থেকে পুরোপুরি আলাদা হলো বিচার বিভাগ
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার নতুন দিন নির্ধারণ
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার নতুন দিন নির্ধারণ