
তীব্র ভূমিকম্পে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হওয়া ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৭।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের রেডিও মেকানিক ইকবাল আহমেদ জানান, ঢাকার আগারগাঁওয়ের আবহাওয়া অফিস থেকে ১৩ কিলোমিটার পূর্বে নরসিংদীর মাধবদীতে ভূকম্পনটির উৎপত্তি।
ভূমিকম্পের ফলে আতঙ্কিত মানুষজন দ্রুত ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় বিভিন্ন জায়গায় দেয়াল ধস ও ফাটলের ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে অন্তত ২০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. মঈনুল আহসান জানান, ঢাকায় অন্তত তিনজনের মৃত্যু এবং শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হতাহতদের চিকিৎসায় দেশের সব হাসপাতালে জরুরি মেডিকেল টিম কাজ করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি সরাসরি মনিটর করছে।
সকালে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার কসাইটুলি এলাকায় একটি আটতলা ভবনের পাশের দেয়াল এবং কার্নিশ থেকে ইট ও পলেস্তরা খসে নিচে পড়ে। সেখানে গরুর মাংস বিক্রির দোকান ছিল। দেয়াল ও ইট-পলেস্তরা খসে নিচে পড়লে সেখানে থাকা ক্রেতা ও পথচারীরা আহত হন।
ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় লোকজন তাদের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আহত ১০ জন মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে ফাতেমা (১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সকালে ভূমিকম্পের সময় ঘটনাস্থল হয়ে ভুলতা-গাউছিয়া যাওয়ার সময় সড়কের পাশের দেয়াল ধসে শিশু ফাতেমা, তার মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগমের ওপর পড়ে। এসময় ঘটনাস্থলেই শিশু ফাতেমার মৃত্যু হয়। আহত হন তার মা কুলসুম ও প্রতিবেশী জেসমিন, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে নরসিংদী সদর থানার গাবতলী এলাকায় বাড়ির সানশেড ভেঙে ওমর (১০) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় তার বাবা দেলোয়ার হোসেন উজ্জল গুরুতর আহত হয়েছেন।
ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে শতাধিক পোশাক শ্রমিক আহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন