মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ

গুমের দায়ে হতে পারে মৃত্যুদণ্ড

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৪ এএম
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৫ এএম

গুমের শিকার ব্যক্তির মৃত্যু হলে জড়িতের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবনসহ কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’ জারি করেছে সরকার।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে এ গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

অধ্যাদেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইবুনাল গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই অধ্যাদেশের অধীনে অপরাধ হবে জামিন ও আপস অযোগ্য।

এ আইনে গুমের আদেশ বা অনুমতি দানকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারদেরও সমান সাজার বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনের অধীনে গুমের সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, বিজিবিসহ সবার বিচার করা যাবে।

অধ্যাদেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার আগ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির অবস্থান ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ গোপন রাখা যাবে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য যদি কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, আটক, অপহরণ বা স্বাধীনতা হরণ করার পর বিষয়টি অস্বীকার করে অথবা ওই ব্যক্তির অবস্থান, অবস্থা বা পরিণতি গোপন রাখে এবং এ কাজের ফলে ওই ব্যক্তি আইনগত সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হন তাহলে কাজটি গুম বা শাস্তিযোগ্য ফৌজদারী অপরাধ বলে গণ্য হবে। দায়ী ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ডের দণ্ডিত হবে।

আর গুমের ফলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে বা গুমের পাঁচ বছর পরেও তাকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব নাহলে দায়ী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

অধ্যাদেশে বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি গুমের স্বাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট করেন বা গুমের উদ্দেশে গোপন আটককেন্দ্র নির্মাণ, স্থাপন বা ব্যবহার করেন, তাহলে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক হলেও তার অনুপস্থিতিতে বিচার সম্পন্ন করা যাবে বলে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে। আর গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার বা হস্তান্তরের বিষয়ে এই অধ্যাদেশে পৃথক ধারা রয়েছে।

গত ৬ নভেম্বর এ অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ, যেখানে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং অভিযোগ গঠনের ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও ৭৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও
আরও ৭৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও
এলপিজির দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে বিকালে
এলপিজির দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে বিকালে
মধ্যরাতে কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প
মধ্যরাতে কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প
বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা
বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা