
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আদৌ হবে কিনা এ প্রশ্ন এখন জনমনে তীব্রভাবে ঘনীভূত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার বেড়তলা মাঠে জনসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থান সব মিলিয়ে দেশজুড়ে এক ধরনের অস্বস্তি এবং অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, কেউ বলছে নিম্নকক্ষে পিআর না হলে নির্বাচনে যাবে না, কেউ বলছে নির্বাচনের আগে গণভোট চাই, আবার কেউ দাবি করছে ১৪ দল ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে; এসব দাবি-দাওয়াতে নির্বাচন ঘিরে উদ্বেগ আরও তীব্র হচ্ছে।
তিনি আরও দাবি করেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও সরকারে না থেকেও কিছু ব্যক্তি সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। এ সুবিধা হারানোর ভয় থেকে বিভিন্ন মহল অস্বাভাবিক রাজনৈতিক অবস্থান নিচ্ছে, যার প্রভাব সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ও সন্দেহ তৈরি করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ার প্রেক্ষিতে তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রুমিন বলেন, গত ১৭ বছর মজলুম ও নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকেছি। দলের কর্মীদের জন্য কাজ করেছি। তাই আমার সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতের ওপর। তাদের সিদ্ধান্তই হবে আমার সিদ্ধান্ত।
তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন পানিশ্বর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো. সামসুজ্জামান। সভায় আরও বক্তব্য দেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুস্তাফা মেম্বার, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাসির মুন্সি প্রমুখ।
জনসভায় পানিশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে মিছিল নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। মাঠজুড়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ও স্লোগানে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
মন্তব্য করুন