
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১০০তম টেস্ট খেলার দারুণ এক মাইলফলক সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ারে অনুশীলনের নেটে কিংবা টিম হোটেলের লবিতে যেন সেই তরুণ মুশফিককেই দেখা যায়। পরিশ্রম আর পেশাদারিত্বে নিজেকে এতটাই অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি।
শুধু সতীর্থই নন, প্রতিপক্ষও মুগ্ধতার সঙ্গে দেখেছে মুশফিকের লম্বা এই ক্যারিয়ার। আয়ারল্যান্ডের প্রধান কোচ হেনরিখ মালানও সে মুগ্ধতা লুকাতে পারলেন না।
ঢাকা টেস্টকে সামনে রেখে সোমবার (১৭ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের আউটারে নেট অনুশীলন করেছেন আইরিশ ক্রিকেটাররা। অনুশীলনের পর দলের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসেন আয়ারল্যান্ডের হেড কোচ হেনরিখ মালান। মিরপুর টেস্ট ঘিরে পরিকল্পনার পাশাপাশি মুশফিকের শততম টেস্ট নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
মুশফিকের প্রতিদিনের প্রস্তুতির চেনা ছবি নজর কেড়েছে তারও। তার ভাষ্যে, ‘আমি মনে করি তার পেশাদারিত্ব (শেখার মতো)। আমি ভোরে উঠি এবং প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তাকে নাস্তা করতে দেখি। তারপর সে সবার আগে বাসে ওঠে যায়, মাঠে চলে যায় এবং অন্যরা মাঠে আসার আগেই গা গরম করে, স্ট্রেচিং করে ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করে দেয়—তখনো বাকিরা হয়তো এসেই পৌঁছায়নি।’
কোচ হেনরিখ মালান বলেন, ‘যখন আপনি পর্দার আড়ালে নিয়মিতভাবে এত কিছু করবেন, তখন আপনার দিকে আলো আসবেই।’
মুশফিককে শততম টেস্টের জন্য অগ্রীম অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজের দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলা অনেক বড় অর্জন। আমরা সবমিলিয়ে দশটা টেস্ট খেলেছি। এটা ধৈর্যের একটা চিত্র তুলে ধরে, এর পেছনে অনেক পরিশ্রমও রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সে হয়তো ৪০০-৫০০ ওয়ার্ম আপ করেছে। এটাই আমাদের বোঝাতে যথেষ্ট যে টেস্ট ক্রিকেট বেশ পরিশ্রমের খেলা।’
মালান রসিকতা করে বলেন, ‘আশা করি আগামী ৫ দিন তার জন্য খুব একটা ভালো যাবে না। তবে তাকে অভিনন্দন।’
২০২৩ সালে মিরপুরে একটি টেস্ট খেলে গেছে আয়ারল্যান্ড। মিরপুর নিয়ে আলোচনাও এত বেশি হয়ে থাকে যে, এখানকার উইকট-কন্ডিশনের ছবিটা তাদের মোটামুটি পরিষ্কার। সিলেট টেস্টে চারদিনেই ইনিংস ব্যবধানে হেরে যাওয়া কোচের চাওয়া, এখানে যেন লড়াইটা অন্তত জমাতে পারে তার দল।
‘‘দেখুন, আমাদের জন্য আবার এখানে আসতে পারাটা একটা দারুণ সুযোগ। যেমনটা বললেন, আমরা এখানে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলাম ২০২৩ সালে। কন্ডিশন কেমন হবে, সে সম্পর্কে আমাদের একটা ভালো ধারণা আছে। গত সপ্তাহে আমরা সিলেটে খেলেছি, সেখান থেকে পাওয়া শিক্ষা সামনে বয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে।”
“আশা করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব এবং এমনভাবে লড়াই করতে পারব, যেন আমাদের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে পারি।”
মন্তব্য করুন