
		মাবুদ আজমী: ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পদে পদে ভোগান্তিতে সেবা প্রত্যাশীরা। আবেদন করেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও মিলছে না কাঙ্খিত স্মার্টকার্ড। তিন থেকে চার বছর ধরে এ সমস্যা হলেও দেখার যেন কেউ নেই। লাইসেন্স না থাকায় পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিআরটিএ জানিয়েছে, স্মার্টকার্ড সরবরাহকারী ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের কারণে আটকে গেছে সাড়ে ৫ লাখের বেশি লাইসেন্স। চুক্তিভঙ্গ করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান বিআরটিএর চেয়ারম্যান।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে আবেদনকারীর টাকা জমা ও পরীক্ষা সহ সব প্রয়োজনীয় কাজ শেষ। এখন শুধু অপেক্ষা স্মার্টকার্ডের। কিন্তু সেই অপেক্ষাই যেন শেষ হচ্ছে না আবেদনকারীদের। কেউ তিন বছর কেউবা চার বছর ধরে অপেক্ষায় একটি স্মার্টকার্ডের।
মানুষের এই ভোগান্তির শুরু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সময় থেকে। তখন পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেয়ায় জটিলতা তৈরির অভিযোগও আছে। সেই থেকে ভুগছেন সেবা প্রত্যাশীরা।
কাজ পাওয়ার পর থেকে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ প্রিন্টার্স চাহিদা অনুযায়ী কার্ড দিতে পারেনি। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৬ সালের জুলাইয়ের মধ্যে ৪০ লাখ কার্ড সরবরাহ করার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত লাইসেন্স এর স্মার্টকার্ড দিতে পেরেছে এর অর্ধেক। তাই নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগের কথা জানান বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে দেরি হচ্ছে জানিয়ে চেয়ারম্যান জানান, স্মার্টকার্ডের জটলা কমাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
সেবা প্রত্যাশীদের ভোগান্তি কমাতে মাদ্রাজ প্রিন্টার্সকে স্মার্টকার্ড দিতে চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান।
মন্তব্য করুন