
		সাজ্জাদুর রহমান: রাজপথে যানজট রাজধানীবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে রাস্তার পাশে অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ে এ দুঃসহ যানজট যেন দিন দিন বেড়েই চলছে। রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা, স্কুল-কলেজ ও খাবারের হোটেলের সামনে সড়কের দু’পাশে প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি পার্ক করে রাখা হয়। এতে গুণতে হয় চাঁদা। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও রয়েছেই। গাড়ীর চালকরা বলছেন, নির্ধারিত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় সড়কেই রাখতে হচ্ছে গাড়ী।
মানুষ, গাড়ি আর ভবনের চাপে, চিড়ে চ্যাপ্টা তিলোত্তমা ঢাকা। শখের গাড়ি বা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে যানবাহন কেনার মানুষও কম নয় এ শহরে। রয়েছে সরু ব্যস্ততম সড়ক, বাজার-মার্কেট বা অফিস ভবনের সামনে চলার পথে পার্কিং করা গাড়ি- এসবই নিত্যসঙ্গী।
রাজধানীর ব্যস্ততম ব্যাংক পাড়া মতিঝিলের প্রায় সব সড়কে অবৈধ পার্কিং। যে কারণে সারাদিনই দেখা যায় বিশৃঙ্খলা ও যানজটের ভোগান্তি। তারওপর এসব গাড়ী রাখার জন্য দিতে হচ্ছে চাঁদা। মিলছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রশিদও। বৈশাখী টেলিভিশনের ক্যামেরা দেখা মাত্রই গাড়ীর পিছনে লুকিয়ে যায় লাইনম্যান।
শুধু ব্যাংক পাড়া নয়, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে মূল সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে গাড়ী। পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানীর বাস। এছাড়া, খাবার হোটেলের সামনে আপন মনে রাখা হচ্ছে প্রাইভেট কার। বাদ যায়নি যাত্রী ছাউনিও। আর রাস্তার দুই পাশে কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাকের দখলে বোঝার উপায় নেই যে এটি একটি চলাচলের প্রধান রাস্তা।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান জানান, মানুষ সচেতন না হলে অবৈধ গাড়ী পার্কিং মুক্ত করা সম্ভব না।
পরিবহণ ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাইফুন নেওয়াজ বলেন, গণপরিবহনের মান বাড়িয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি কেনায় নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি পার্কিং চার্জ বাড়ানোর উদ্যোগ নিলে কমে যাবে এ সমস্যা।
আর নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবীব বলছেন, ট্রাফিক পুলিশের আইনের বিধিমালা প্রয়োগ ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে পারলেই মিলবে সুফল।
কর্তৃপক্ষের বার বার হুঁশিয়ারি বা অনুরোধ সত্ত্বেও কিছুতেই কমছে না যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং।
মন্তব্য করুন