
		ফাহিম মোনায়েম: দেশে বাড়তে শুরু করেছে রপ্তানি আয়। জুলাই বিপ্লবের পর আশার আলো দেখলেও গ্যাস, বিদ্যুৎ সমস্যা ও সুদের হার বৃদ্ধিসহ নানা জটিলতার মধ্যে হতাশায় দিন কাটছে ব্যবসায়িদের।
সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বর মাসে দেশে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৬৩ কোটি মার্কিন ডলার। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।
প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিইআরসি কাছে প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজসম্পদ করপোরেশন-পেট্রোবাংলা। তার সাথে সুদের হার বৃদ্ধি, বকেয়া ঋণ পরিশোধে ব্যাংকগুলোর চাপ। ব্যাবসায়ী নেতারা বলছেন, রপ্তানির হার বাড়লেও খরচ বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা কাটছেনা তাদের।
গার্মেন্টস খাতের ব্যবসায়িরা বলছেন, আগামীতে বিশ্বের কাছে তালমিলিয়ে বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দিকে যেতে হবে। কটনের পাশাপাশি ম্যানমেইট ফাইবার পোশাক উৎপাদনে যেতে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান তারা।
অর্থনীতিবিদ আব্দুর রাজ্জাক আবু আহমেদ জানান আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসার পরিবেশ তৈরিতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। সুদের হার কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সুদের হার বাড়িয়ে মুল্যস্ফিতি কমানো যায় না বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন