
		নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৬ বছরেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি বিডিআর হত্যা মামলার বিচার। বিস্ফোরক মামলাটি এখনো সাক্ষী পর্যায়ে।
বিগত বছর ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর হাইকোর্টের আদেশে মামলা দুটির অধিকতর তদন্তে কমিশন গঠন করে সরকার।
এ অবস্থায় মামলা দ্রুত শেষ করতে প্রধান বিচারপতির প্রতি আহবান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগও দায়ের করেছে নিহত সেনাকর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পিলখানা সদর দফতরে তৎকালীন বিডিআরের সেনা কর্মকর্তাদের উপর নারকীয় হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। নৃশংস ওই ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তৎকালীন বিডিআর প্রধান, ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন।
হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় আসামি করা হয় ৮৫০ জনকে। বাহিনীর নিজস্ব আইনে বিদ্রোহের ৫৭টি মামলায় প্রায় ৬ হাজার জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। আসামি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তের সংখ্যার বিচারে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ মামলা বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট হয়ে এখন চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে আপিল বিভাগে।
বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বিচারকাজ চলছে ঢিলেঢালা ভাবে। ঘটনার ১৬ বছর পার হলেও প্রায় ১৩শ’ সাক্ষীর মধ্যে এখনো পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছে প্রায় ৩শ’ জন। হত্যা মামলায় অনেকেই খালাস পেলেও মুক্ত হতে পারছেন না বিস্ফোরক আইনে মামলা থাকায়। পিলখানা হত্যার তদন্ত ও বিচার সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান আইনজীবীরা।
এ অভিযোগের তদন্তে ধীরে এগুচ্ছে ট্রাইব্যুনাল। কমিশনের প্রতিবেদন দেখেই তদন্তের সিদ্ধান্ত বলে জানান প্রসিকিউটর।
উল্লেখ্য,বিডিআর হত্যাকান্ডের গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিম্ন আদালতে বিস্ফোরক আইনে করা মামলাটি নিষ্পত্তি করার আহবান জানান আসামী পক্ষের আইনজীবীরা।
মন্তব্য করুন