
		নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র রমজান সামনে রেখে বাজারে মুরগি, মাছ ও মাংসের দাম বেড়েছে। কিছু পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বাড়তি রয়েছে লেবু, শসা ও বেগুনের দামও। ফলের বাজার চড়া, সংকট কাটেনি সয়াবিন তেলের। এদিকে, ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রিতে মাঠে নামছে সরকারী সংস্থাগুলো। অন্যদিকে, বাজারে দাম বেশি নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মৎস ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা।
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান মাস। রমজান এলেই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি যেন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে কাঁচাবাজারের বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে। ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ বেগুন, শসা, লেবুর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। ভোক্তাদের এখনও ঘুরতে হচ্ছে দোকানে দোকানে। পাওয়া গেলেও, মিলছে না গায়ে লেখা দরে। আটা, ময়দা, পোলাওয়ের চাল না কিনলে, সয়াবিন তেলের সরবরাহ করছে না ডিলাররা। এমন অভিযোগ করছেন খুচরা বিক্রেতারা।
আগের চড়া দরেই স্থিতিশীল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছের বাজারেও একই অবস্থা। দাম কেজিতে ২০-৫০ টাকা বেড়েছে।
রমজানের আগেই চড়া হতে শুরু করেছে ফলের বাজার। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। দাম বাড়তিতে ক্ষোভ জানান বিক্রেতারাই। বাড়তি দাম থেকে পরিত্রান চায় ক্রেতারা।
এদিকে, ঢাকার ২৫টি স্থানে গাড়িতে করে ন্যায্য দামে ব্রয়লার মুরগি, ডিম, পাস্তুরিত দুধ ও গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এসময় তিনি যারা বাড়তি দাম নিবে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
এই কার্যক্রমের আওতায় ড্রেসড ব্রয়লার মুরগির মাংস প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, দুধ পাস্তুরিত প্রতি লিটার ৮০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকা এবং গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে।
মন্তব্য করুন