মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৩ এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে মারিয়া নামে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলো, কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন খোলামোড়া গ্রামের কামির উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার খাঁকান্দা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে মো. রাকিব এবং শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার মুসলিম মাতবরের ছেলে শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন।

এছাড়া মরদেহ গুমের ঘটনায় তাদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে আলী আকবর (২২) এবং মো. রিয়াজের (২২) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) সাজার বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামিদের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাকারে জমা দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা তিন আসামি রাকিব, রিয়াজ এবং শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে দণ্ডিত রাকিব এবং শাওনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডিত সজিব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ জুন জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জের আঁটিবাজার এলাকার পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের সামনে পুকুর থেকে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। প্রথমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ভুক্তভোগীর এক বান্ধবী সাক্ষী হিসেবে আদালতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ শাওন নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

পরে শাওন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় এবং জানায়, সে মো. রাকিব, মো. সজিব ও মো.আলী আকবর মিলে ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের পানিতে ফেলে রাখে। পরে রাকিব এবং সজিবকে গ্রেফতার করা হয়। তারাও একই কথা বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

মামলাটি তদন্ত করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর অলক কুমার দে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

পরে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
যেমন থাকবে আজকের রাজধানীর আবহাওয়া
যেমন থাকবে আজকের রাজধানীর আবহাওয়া
আইইবি’র ষষ্ঠ বার্ষিক পেপার মিট ২০২৫-এর লোগো ও ট্রফি উন্মোচন
আইইবি’র ষষ্ঠ বার্ষিক পেপার মিট ২০২৫-এর লোগো ও ট্রফি উন্মোচন
রাজধানীতে আজ কোথায় কী?
রাজধানীতে আজ কোথায় কী?
১০ মাসে ৩ হাজার আ.লীগ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার ঝটিকা মিছিল থেকে
১০ মাসে ৩ হাজার আ.লীগ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার ঝটিকা মিছিল থেকে