
		নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ‘বিএনপি কর্মী নয়’ বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, মুরাদনগরের অপকর্মের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা জড়িত থাকলেও দায় চাপানো হচ্ছে বিএনপির ওপর।
রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, মুরাদনগরে জঘন্য অপকর্ম করেছে আওয়ামী লীগের একজন নেতা।অথচ সেটা আমাদের দলের নামে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যে অপকর্মটি করা হয়েছে, আমার বলতেও সেটা ঘৃণা লাগছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তাদের দোসররা বসে নেই। তারা নানাভাবে অপকর্ম করে যাচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কঠোর না হওয়ায় এসব ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী। এ সময় তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দ্রুত দৃশ্যমান করার দাবি জানান।
আওয়ামী লীগ টাকা খরচ করে সরকার ও গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর ইমেজ খারাপ করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে আছে।তাদের কাছে প্রচুর টাকা আছে। এই টাকা দিয়ে বর্তমান সরকার ও গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে কালিমালিপ্ত করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মুরাদনগরের এ ঘটনা সেটারই প্রতিফলন বলে আমি মনে করি।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণকাণ্ডের মূল রহস্য ধীরে ধীরে উদঘাটিত হচ্ছে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বলে জানা গেছে। রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে নারীকে ওইদিন বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করা হয়। স্থানীয় লোকজন, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের ওই নারীর স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী। তার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল স্থানীয় যুবক ফজর আলীর। সেই সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন ফজর আলী। তাকে ধরতে ছাত্রলীগ নেতা সুমনের নেতৃত্বে কয়েকজন ফাঁদ পাতে। পরে পরিকল্পনামাফিক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন