
দেশের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র তিতাসে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন অতিরিক্ত ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএফসিএল জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনের কারণে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন-ই (কূপ নং ১১ ও ১২) এবং লোকেশন-জি (কূপ নং ১৭, ১৮ ও ২৭)-এর ওয়েলহেড প্রেসার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছিল। ফলে জাতীয় গ্রিডের চাহিদার তুলনায় গ্যাস সরবরাহ কমে যাচ্ছিল। এই সংকট নিরসন ও সরবরাহ সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে স্থাপনকাজ শুরু হয় এবং সম্প্রতি টেস্টিং, কমিশনিং ও পারফরম্যান্স টেস্ট রান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে লোকেশন-ই থেকে দৈনিক প্রায় ৩১ মিলিয়ন ঘনফুট এবং লোকেশন-জি থেকে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে—যা পূর্বের তুলনায় দৈনিক ২২ মিলিয়ন ঘনফুট বেশি।
এছাড়া তিতাসের লোকেশন-ই ও লোকেশন-জি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৬ ব্যারেল কনডেনসেট (গ্যাসের উপজাত তরল পদার্থ) উৎপাদন হচ্ছে বলেও জানায় সংস্থাটি।
দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসচাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিজিএফসিএল আরও বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে তিতাস, হবিগঞ্জ ও মেঘনা গ্যাস ফিল্ডে সাতটি কূপের ওয়ার্কওভার (পুনঃউন্নয়ন) কাজ, তিতাস ও কামতা ফিল্ডে চারটি মূল্যায়ন-কাম-উন্নয়ন কূপ খনন, তিতাস ও বাখরাবাদ ফিল্ডে দুটি গভীর অনুসন্ধান কূপ খনন, এবং হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৩-ডি সাইসমিক জরিপ প্রকল্প বাস্তবায়ন।
বিজিএফসিএল জানায়, এই প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন হলে জাতীয় গ্যাস উৎপাদন সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও শিল্পোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
মন্তব্য করুন