সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
জাঁকজমকপূর্ণভাবে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ও রবিবার (১৫-১৬ নভেম্বর) দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় ‘নবীনবরণ আনন্দ-ঝিলমিল’ অনুষ্ঠান। আট হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে তাদের আনুষ্ঠানিক বরণ উৎসবের মাহেন্দ্রক্ষণে প্রতিষ্ঠানটিতে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। হৃদয়গ্রাহী আয়োজন, অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য আর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আনন্দঝংকারে নবীনদের বরণ করে নেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে তাদের আকাঙ্ক্ষিত প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বর্ণিল বরণোৎসবের মাধ্যমে শিক্ষাজীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার উচ্ছ্বাস ছিল সুস্পষ্ট।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির, চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা।
শুরুতে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ ও আসন গ্রহণের পর নবাগত শিক্ষার্থীদের পুষ্পপাপড়ি দিয়ে গানের ছন্দে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করা হয়।
নবীন শিক্ষার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষার শুরু থেকেই মনোযোগী হও এবং নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য নিরলস পরিশ্রম করো।’ তিনি শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল ও মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে উৎসাহিত করেন।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির তার বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়, সততা ও দায়িত্ববোধের মাধ্যমে জীবনে সফল হওয়ার অনুপ্রেরণামূলক বার্তা প্রদান করেন।
সমাপনী বক্তব্যে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা নবীনদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের শিক্ষকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকতে হবে, ক্লাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকতে হবে, পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকতে হবে এবং অত্র কলেজের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে—তাহলে অবশ্যই তোমরা সফলতা পাবে।’
এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর দলীয় ও একক গান, অভিনয়, আবৃত্তি, রম্য বিতর্ক এবং নৃত্য পরিবেশন করে। উপস্থিত অতিথিবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভার প্রশংসায় মুখর হন। নবীনবরণ অনুষ্ঠানটি নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য স্মরণীয় সূচনা হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ শুধু লেখাপড়ায় নয়, বরং শৃঙ্খলা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমেও দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ১৮৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৯৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ পাসসহ ৯২০ জন জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
মন্তব্য করুন
