
‘সালতানাত’ সিনেমার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন জুহি চাওলা।এর পর একে একে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’, ‘ডর’, ‘ইয়েস বস’, ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে’-এর মতো একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দেন । নব্বই এবং ২০০০-এর শুরুর দিকেও বলিউডের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন নায়িকাদের একজন ছিলেন জুহি। তবে ২০১০-এর দশকে ধীরে ধীরে সিনেমায় কাজ কমিয়ে দেন। সর্বশেষ নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফ্রাইডে নাইট প্ল্যান’ (২০২৩)-এ কাজ করেছেন, যেখানে তাঁর সহ-অভিনেতা ছিলেন ইরফান খানের ছেলে বাবিল খান।
বর্তমানে জুহি চাওলা শুধু সাবেক সুপারস্টার নন, তিনি ভারতের সবচেয়ে সফল নারী বিনিয়োগকারী অভিনেত্রীও বটে। বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যবসায়িক দূরদর্শিতা-দুই জগতে সমান দক্ষতায় নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন তিনি। সিনেমায় না থেকেও যে সাফল্যের গল্প লেখা যায়, জুহি চাওলা যেন তারই প্রমাণ। আছেন আলোচনায়।
আলোচনায় বলা হচ্ছে বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রী তিনি। নব্বই দশকের বলিউডের অন্যতম উজ্জ্বল মুখ এই অভিনেত্রী। তখন একের পর এক হিট সিনেমা নায়িকা হয়ে দর্শকের মন জয় করেছিলেন। অবশ্য সিনেমায় তিনি এখন আর নিয়মিত নন। বিশেষ করে গত দুই বছরে কোনো নতুন সিনেমায় দেখা যায়নি তাঁকে। তবু পর্দার বাইরে নীরবে গড়ে তুলেছেন বিপুল এক সাম্রাজ্য। এক বছরে যোগ করেছেন ৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা (প্রায় ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা)। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদ এখন দাঁড়িয়েছে অবিশ্বাস্য ৭ হাজার ৭৯০ কোটি রুপিতে (প্রায় ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা)। তিনি জুহি চাওলা।
জানা যায় একসময় বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া নায়িকাদের একজন ছিলেন জুহি। আজ তিনি ভারতের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রী। হারুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২৫-এর তথ্য মতে, গত এক বছরে জুহির সম্পদ বেড়েছে ৬৯ শতাংশ। এর সুবাদে নারী তারকাদের মধ্যে ধনসম্পদের তালিকায় সবার ওপরে উঠে এসেছেন তিনি
সামগ্রিকভাবে বলিউডের অভিনেতাদের মধ্যে তিনি আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তাঁর ওপরে আছেন কেবল শাহরুখ খান, যাঁর সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার ৪৯০ কোটি রুপি। জুহির পরে আছেন হৃতিক রোশন (২,১৬০ কোটি), এরপর করণ জোহর (১,৮৮০ কোটি) এবং তারপরে আছেন অমিতাভ বচ্চন (১,৬৩০ কোটি টাকা)।
জুহির এই বিপুল সম্পদের মূল উৎস হলো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম আলোচিত দল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। দীর্ঘদিনের সহ-অভিনেতা ও বন্ধু শাহরুখ খান এবং স্বামী জয় মেহতার সঙ্গে কেকেআরের সহমালিক তিনি। তাঁদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান-রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট ও দ্য মেহতা গ্রুপের মাধ্যমে এইমালিকানা ভাগাভাগি করেছেন তাঁরা।
২০২৪ সালের আইপিএলে শিরোপা জেতার পর কেকেআরের ব্র্যান্ড ভ্যালু হু হু করে বেড়েছে। আইপিএল ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন স্টাডি (জুন ২০২৪) অনুযায়ী, গোটা লিগের বাজারমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৪৫ লাখ কোটি রুপিতে, যার মধ্যে কেকেআরের একক মূল্যই ১ হাজার ৯১৫ কোটি রুপি।
গত বছরও জুহির সম্পদ অনুমান করা হয়েছিল প্রায় ৪ হাজার ৬০০ কোটি রুপি। সেখান থেকে মাত্র এক বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৯০ কোটিতে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৩ হাজার ১৯০ কোটি রুপি। এই আর্থিক সাফল্যের সুবাদে হারুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২৫-এর শীর্ষ ১০ স্বনির্মিত নারী উদ্যোক্তার তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন জুহি।
মন্তব্য করুন