
বরগুনায় তালতলী ইসলামী হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারের সময় নবজাতকের পেট কেটে হত্যার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। ভুক্তভোগী সীমা আক্তার (২২) তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার মো. শহীদুল ইসলামের মেয়ে ও মঠবারিয়া উপজেলার বড় মাছুয়া গ্রামের মো. হৃদয়ের স্ত্রী। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ডাক্তার নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন তারা।
জানা যায়, স্বাস্থ্যসেবার জন্য গর্ভবতী মা সীমা আক্তারকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিবার। ডেলিভারির তারিখ ৮ই অক্টোবর থাকা সত্ত্বেও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মরত চিকিৎসক ডা. নুসরাত জাহান, তার সহযোগী ডা. ফাহমিদা হক ও ডা. সার্জিল হোসেন সোহাগ রোগীকে দ্রুত সিজার করাতে বলেন। ভয় দেখানো হয় যে এই মুহুর্তে সিজার না করলে সীমাকে বাচানো যাবেনা।
ডাক্তারদের কথা মতো সীমার পরিবার বাড়িতে টাকা আনতে গিয়ে হাসপাতালে এসে দেখে সীমাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং নবজাতকের জন্ম হয়েছে। তবে বাচ্চার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ ডাক্তাররা অবহেলা করে ইচ্ছাকৃতভাবে নবজাতককে হত্যা করেছে।
ভুক্তভোগী সীমার মা রেবা (৫০) বলেন, ডেলিভারি তারিখের পূর্বেই আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়েছে ডাক্তাররা। বলেন দ্রুত সিজার করতে হবে, নয়তো আপনার মেয়েকে বাঁচানো যাবে না। ডাক্তারদের অবহেলায় আমার নবজাতক নাতির মৃত্যু হয়েছে। আমরা বিচার চাই।
অভিযুক্ত চিকিৎসকরা ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত হাসপাতাল ম্যানেজার মো. বশিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ্ জালাল বলেন, পরোক্ষভাবে সংবাদ পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থায নেয়া হবে।
তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন