
		আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে আমেরিকায় একই সাথে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলা চলবে। নিউ ইয়র্কের আদালত শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাজারের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দিয়েছিল গৌতমের মালিকানাধীন ‘আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড’। ঘুষের অংক ২০২৯ কোটি ডলার। এই সংক্রান্ত তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমেরিকার ন্যায়বিচার দফতর এবং বাজার নিয়ন্ত্রক এসইসি সংস্থা আদানির বিরুদ্ধে যথাক্রমে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে অভিযোগপত্র পেশ করেছিলো।
ফৌজদারি অভিযোগগুলির মধ্যে রয়েছে ১৯৭৭ সালে চালু হওয়া আমেরিকার ঘুষ বিরোধী আইন ‘ফরেন কোরাপ্ট প্র্যাক্টিসেস আ্যাক্ট’ -এফসিপিএ লঙ্ঘনের পাশাপাশি সিকিয়োরিটিজ (শেয়ার এবং ঋণপত্র) সংক্রান্ত এবং ওয়্যার -টেলিফোন-সহ বৈদ্যুতিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণার ষড়যন্ত্র। দেওয়ানি আইনেও অভিযোগ আনা হয়েছে শেয়ার এবং ঋণপত্রের বাজারের নিয়ম লঙ্ঘন সংক্রান্ত প্রতারণার।
গত ২১ নভেম্বর নিউ ইয়র্কেল ইস্টার্ন ডিসট্রিক্ট কোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘প্রমাণ-সহ অভিযোগপত্র’ পেশ করেছিল সংস্থা এসইসি এবং ন্যায়বিচার দফতর। গৌতম, তাঁর ভাইয়ের ছেলে সাগর, সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর বিনীত জৈন এবং তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, ঘুষ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাজারের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বেচার বরাত আদায় করেছিলেন। ঘুষের কথা গোপন করে আমেরিকা ব্যাঙ্ক এবং আমেরিকার লগ্নিকারীদের থেকে প্রকল্পের জন্য কোটি কোটি টাকা তোলে এজিএল। যা প্রতারণা।
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বার আদানিদের বিরুদ্ধে তিনটি দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার একসঙ্গে শুনানির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, আদানিদের এর থেকে ২০ বছর ধরে ২০০ কোটি ডলার মুনাফা করার পরিকল্পনা ছিল। তবে সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে আদানি গোষ্ঠী।
মন্তব্য করুন