
		আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবারও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পুন:নির্বাচিত হয়েছেন মাইক জনসন। শুক্রবার দেশটির স্থানীয় সময় কংগ্রেসের ভোটাভুটিতে নানা নাটকীয়তার পর জয়ী হন জনসন। এই পদে তিনি নবনর্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন পেয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদসে বলা হয়, স্পিকার পুন:নির্বাচিত হতে জনসনের ২১৮ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তবে ভোটাভুটিতে তিনি ২১৬ জনের সমর্থন পান। ২১৫ জন আইনপ্রণেতা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হাকিম জেফরিসকে ভোট দেন। আর অন্যান্য প্রার্থীরা পান তিন ভোট। প্রথম দফার রিপাবলিকান দলের তিনজন আইনপ্রণেতা জনসনকে ভোট দেননি।
এতে করে কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় ভোটাভুটি দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। শেষ হাসি হাসেন জনসন। তিনি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের দৌলতে প্রয়োজনীয় ২১৮টি ভোট পান। হাকিম পান ২১৫টি ভোট। অন্যান্য প্রার্থীদের ঝুঁলিতে একটি ভোট জমা পড়ে।
এর আগে গত বছরের ৩ অক্টোবর স্পিকারের দায়িত্ব থেকে কেভিন ম্যাকার্থিকে অপসারণের পর থেকে প্রতিনিধি পরিষদ নেতৃত্বহীন ছিল। কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ম্যাকার্থিকে অপসারণের প্রস্তাব আনলে তা পাস হয়। তিন সপ্তাহ পর বুধবার ২২০-২০৯ ভোটে তিনি নির্বাচিত হন।
বিজয়ী ভাষণে ৫১ বছর বয়সী জনসন বলেছেন, জনসন বলেন, ‘গত চার বছর জো বাইডেনের দূর্বল নেতৃত্ব আমেরিকাকে বিপজ্জনক অবস্থানে নিয়ে গেছে। পরবর্তী কংগ্রেস “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতি বাস্তবায়নে চ্যাম্পিয়ন হবে।’ আমেরিকা ফার্স্ট হলো দেশখে এগিয়ে নিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারমূলক নীতি।
স্পিকার পদে পুননির্বাচিত হওয়ায় জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘জনসন একজন সেরা স্পিকার হবেন এবং তাঁর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হবে।’
গত মাসের শুরুর দিকে বাজেট বিল পাসের বিষয়ে জনসনের ভূমিকায় নিয়ে রিপাবলিকান ককাসের বিভক্তি প্রকাশ পায়। তাঁর নেতৃত্বের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এরপর ডিসেম্বরের শেষ দিকে স্পিকার পদে জনসনের প্রতি সমর্থন জানান ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে নতুন বছরে রিপাবলিকানদের বিরোধ কমানোর আপাত প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন