
		আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজায় একদিনে আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গত তিনদিনে ইসরাইলি বর্বরতায় প্রাণ হারালো প্রায় দুই শত নিরীহ ফিলিস্তিনি। সম্প্রতি ইসরাইলি বাহিনীর হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে গাজার হাসপাতালগুলো।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের এ ধরণের পদক্ষেপকে গণহত্যার সামিল বলে মন্তব্য করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অবরুদ্ধ ভূখন্ডটিতে ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেয়া ও হাসপাতালে হামলা চালানোয় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘও।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৫ মাসের অভিযানে মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৫ হাজার ৭১৯ জনে। সেইসাথে এই সময়সীমায় আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। ঘর-বাড়ি এবং বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে চাপা পড়ায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।
সম্প্রতি গাজার হাসপাতালগুলোতে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। কামাল আদওয়ানের পর এবার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের অভিযান চালাচ্ছে তারা। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালটি ফাঁকা করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, গাজার ২৭টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১৩৬বার ইসরাইলি হামলার শিকার হয়েছে, এতে বেড়েছে মৃত্যু আর ধ্বংস হয়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। আর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, গাজার স্বাস্থ্যসেবা খাতকে ‘নিশ্চিহ্ন’ করতে হাসপাতালগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।
এদিকে হামাসকে সমর্থন দেয়ার অভিযোগে গাজায় ইউএনডব্লিউআর-এর সহায়তা কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে ইসরাইল। যা জাতিসংঘের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি জানিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছে সংস্থাটি। সেইসাথে অঞ্চলটির মানবিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
অন্যদিকে, কাতারের মধ্যস্থতায় আবারও যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসেছে হামাস ও ইসরাইল। গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে হামাস। এই পরিস্থিতিতেও ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকা। গোলাবরুদ, যুদ্ধবিমান, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাবদ আটশো কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। যদিও এসব অস্ত্র বিক্রি করতে হলে কংগ্রেসের উভয় কক্ষের অনুমোদন পেতে হবে তাদের।
মন্তব্য করুন